এবার বিশ্বকাপের ১৩তম আসর জুড়ে রানের ফোয়ারার আভাস মিলেছিল প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে। তবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড সেভাবে রান তুলতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যার্থতায় ২৮২ রানেই থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র রীতিমতো ইংলিশ বোলারদের পাড়া মহল্লার বোলার বানিয়ে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এমন জয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল আগের আসরের রানার্সআপরা।
এদিকে ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার দিনে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে কনওয়ে ও রবীন্দ্র জুটি। বিশ্বরেকর্ড গড়ার দিনে বাংলাদেশকে লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছে কিউইরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে উদ্বোধনী ম্যাচে এতদিন সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডটি ছিল ভারতের বিরাট কোহলি ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগের।
যে রেকর্ডটি তারা করেছিল বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১১ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সেদিন কোহলি ও শেহওয়াগ ২০৩ রানের জুটি গড়েন। সে ম্যাচে শেহওয়াগ করেছিলেন ১৭৫ রান এবং কোহলি করেছিলেন ১০০। শেহওয়াগ-কোহলির সেই রেকর্ড আজ ভেঙেছেন কনওয়ে-রাচিন জুটি।
দুজনে মিলে করেছেন ২৭৩ রানের জুটি। রাচিন রবীন্দ্র ৯৬ বলে ৫ ছয় ও ১১ চারে ১২৩ রানে ও ডেভন কনওয়ে ১২১ বলে ৩ ছয় ও ১৯ চারে অপরাজিত থাকেন ১৫২ রানে। এদিন আরো একটি রেকর্ড গড়েন কনওয়ে-রাচিন জুটি। ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটের জুটির রেকর্ড গড়েন তারা।
এর আগের রেকর্ডটি ছিল মার্টিন গাপটিল ও উইল ইংয়ের। তারা করেছিলেন ২০৩ রান। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ডবুকে তোলপাড় করে ইংল্যান্ডও। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৫২ বছরের ইতিহাসে বিরল এক রেকর্ড গড়ে তারা। ২৮২ রান সংগ্রহের পথে দলের প্রতিটি সদস্য দুই অঙ্কে পৌঁছান।
এমন ঘটনা ৪৬৫৮ ম্যাচের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম। এর আগে ৫টি দলের ১০ জন করে ব্যাটসম্যান একই ম্যাচে দুই অঙ্ক স্পর্শ করেছিলেন। সর্বপ্রথম ১১ জন ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছানোর খুব কাছে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গত ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া একটি ওয়ানডেতে ১১ নম্বরে নামা কোর্টনি ওয়ালশ ছাড়া সবাই দুই অঙ্কের ফিগারে যেতে সক্ষম হন। আর অস্ট্রেলিয়া চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারতের বিপক্ষে এই কীর্তি প্রায় গড়তেই যাচ্ছিল। দলের ১০ জন ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছালেও মাঝে শুধু স্টিভেন স্মিথ আউট হন শূন্য রানে।